বিশেষ প্রতিবেদক, লখনউ: উত্তরপ্রদেশে নতুন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল চালু হলে তার শাস্তির প্রভাব পড়বে শিশুদের উপর। আর কমপক্ষে ৭৭টি সরকারি ক্ষেত্রে েজনগণ বঞ্চিত হবেন। তাই এই বিল চরম মানবাধিকার বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন দারুল উলুম দেওবন্দের সুপারিনটেন্ডেন্ট মুফতি আবুল কাসিম নোমানি। উর্দু দৈনিক কওমি আওয়াজ পত্রিকায় মাওলানা নোমানির এই বক্তব্য ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে।
নতুন জনসংখ্যা নীতি ২০২১-২০৩০-তে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মাওরানা নোমানি বলেন, এই আইনের পরিপ্রেক্ষিতে দুটিরও বেশি বাচ্চার বাবা-মায়েদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রভাব গিয়ে পড়বে তাদের বাচ্চাদের উপর। এভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগ করার প্রয়াস মানবাধিকারের পরিপন্থী। যদি দুটিরও বেশি শিশু জন্মগ্রহণ করে এবং তারা সব ধরণের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়, তবে এই শিশুদের কিসের দোষ তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাই এই আইন ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে নয়, একেবারে ভুল সিদ্ধান্ত বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন। তার মতে বাচ্চাদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রাখতে হবে এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি আইন হওয়া উচিত। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রবিবার নতুন উত্তর প্রদেশ জনসংখ্যা নীতি ২০২১-২০৩ শীর্ষক যে খসড়া জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল পেশ করেছে তাতে দুই জনেরও বেশি বাচ্চা থাকা ব্যক্তিরা সরকারি চাকরি পাবেন না এবং তারা স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য হবেন না। শুধু তাই নয়, খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, যেখানে এক ও দুটি শিশু রয়েছে তাদের সরকারি সুযোগ-সুবিধায় বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। আর যাদের দুটির বেশি সন্তান তারা ৭৭ ধরনের সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এটি নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিল ২০১৫ সালে। তারা বলেছিল জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্সা অনুসারে, দেশের জনসংখ্যা হার ২.২ এবং উত্তরপ্রদেশের হার ২.৭। এই পরিসংখ্যান অনুসারে, যদি কোনও সন্তানের জন্মকে উৎসাহ দেওয়া হয় এবং অগ্রাধিকার দেওয়া হয় তাহলে জনসংখ্যার অনুপাতেরও অবনতি হতে পারে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct