নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: দেখলে মনে হবে ছোটোখাটো একটা পুকুর।বর্ষা শুরু হতেই স্কুলের সামনে এক হাঁটু জল। জলে থইথই করছে স্কুলে ঢোকার রাস্তাও।সেই হাঁটুজলে দাঁড়িয়েই মিড ডে মিলের সামগ্রী নিচ্ছেন অভিভাবকরা। জমা জলে দাঁড়িয়েই অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দিচ্ছেন শিক্ষকরা। এই ছবি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের খিদিরপুর লীলাবতী প্রাথমিক স্কুলের। স্কুলের পাশাপাশি সামনের রাস্তায় হাঁটু সমান জল জমে থাকায় যাতায়াতে জীবন জেরবার লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদেরও। জল নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় ওই সমস্যা তৈরি হয়েছে। শুধু এবছরই নয়। গত চার বছর ধরে এমন অবস্থা তৈরি হলেও পঞ্চায়েত-প্রশাসনের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনাকে ঘিরে শিক্ষক, অভিভাবকদের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিডিও পার্থ দাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রধানের সঙ্গে কথা বলছি। দ্রুত যাতে সমস্যা মেটে তা দেখা হচ্ছে।স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় আগে কোনও স্কুল ছিল না। ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার কথা ভেবে ১৯৬২ সালে স্থানীয় সমাজসেবী লীলাবতী বেওয়ার দান করা জমিতে তার নামে স্কুল গড়ে ওঠে। দোতলা স্কুলে মোট সাতটি শ্রেণি। পড়ুয়ার সংখ্যা ২৬৫ জন। এখন স্কুল বন্ধ। কিন্তু প্রতিমাসে মিড ডে মিল, অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়ার কাজ চলছে। জলেকাদায় দাঁড়িয়েই তা দেওয়া নেওয়া চলছে। এছাড়া একতলার সমস্ত শ্রেণিকক্ষে জল জমে থাকায় মেঝে নষ্ট হতে বসেছে। রাস্তায় জল জমে থাকায় লাগোয়া শিবমন্দির পাড়ার বাসিন্দাদেরও চরম নাজেহাল হতে হচ্ছে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা দাস বলেন, সমস্যার কথা সর্বত্রই জানিয়েছি। কিন্তু সমস্যা মিটল কই। জলকাদায় দাঁড়িয়েই সমস্ত কাজ সারতে হচ্ছে। দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ নজিবর রহমান বলেন, আমাদেরও খারাপ লাগছে। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থার জন্য অনেকেই জায়গা ছাড়তে চাইছেন না। তবু দ্রুত যাতে সমস্যা মেটে তা দেখছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct