সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়: অবস্থান বিক্ষোভেও বিভক্ত ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস। আলাদা আলাদা মঞ্চ থেকেই কর্মসূচি পালন করেছে আরাবুল গোষ্ঠী ও তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী। কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী অবস্থান থেকে গোষ্ঠী বিরোধী ছবি ধরা পরে এদিন।
এদিন সকাল দশটায় চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের বিজয়গঞ্জ বাজারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এদিনের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আরাবুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মন্ডল, ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি কাশেফুল করুব খাঁন, ভোগালি ২ অঞ্চলের বিতর্কিত প্রধান মোদাচ্ছের হোসেন প্রমুখ।
অপরদিকে এদিন শানপুকুর অঞ্চলের শোনপুরে আরও একটি অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। সকাল ১১ টায় শুরু হওয়া কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড়ের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী ডাক্তার রেজাউল করিম, ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি আব্দুর রহীম মোল্লা ও সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মহসিন মোল্লা। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফিরোজ উদ্দিন সাপুই, সাবির মোল্লা, বিকাশ মন্ডল প্রমুখ। কেন্দ্রীয় সরকারের পেট্রোল, ডিজিল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজ্য জুড়েই ব্লকে ব্লকে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। তার ব্যাতিক্রম হয়নি ভাঙড়েও। তবে ব্যাতিক্রম অন্য জায়গায়। তা হল একই ব্লকে তৃণমূলের দুটি কর্মসূচির ঘটনা। বরাবরই ভাঙড় তৃণমূলের প্রধান বৈশিষ্ট্য নানা গোষ্ঠী ও উপগোষ্টী। তার ভরকেন্দ্র যেন আরাবুল ইসলাম। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়েছে আরাবুলের বিরুদ্ধে। এককালের বিরোধী কাইজার এখন আরাবুলের সঙ্গে। আর এক বিরোধী নান্নু হোসেন প্রয়াত হয়েছেন। আরাবুল ইসলামের নতুন কাঁটা ‘বহিরাগত’ ডাক্তার রেজাউল করিম। শোনপুরের অবস্থান কর্মসূচি থেকে বক্তব্য দিয়ে গিয়ে এদিন নাম না করে অতি কৌশলে আরাবুল গোষ্ঠীকে নিশানা করেন রেজাউল করিম। এবিষয়ে সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য তথা ভাঙড়ের ভুমি পুত্র তুষার ঘোষ বলেন,” গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব হচ্ছে তৃণমূলের ‘অঙ্গের ভূষণ।’ ভাগাভাগি নিয়ে ওদের দ্বন্দ্ব। ওটা ওদের আভ্যন্তরিণ বিষয়। তা নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। তবে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে বলব, পুলিশ যখন আমাদের সভা সমিতির অনুমতি দিচ্ছে না, তখন শাষক দলের একাধিক সভার অনুমতি দিচ্ছে। তৃণমূলের সভা হলে মহামারী আইন কার্যকর হয় না। পুলিশের এই দ্বিচারিতাকে নিন্দা জানাই।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct