আপনজন ডেস্ক: চিনের জিনজিয়াং অঞ্চলে একটি আটক কেন্দ্রে উইঘুর শিক্ষকের মৃত্যু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে। এতে আগের থেকে অনেক বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উইঘুর মুসলিমরা। ২৯ বছর বয়সী মিহরিয়াই এরকিন ২০১৯ সালের জুন মাসে জাপানের নারা টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স ইন্সটিটিউটে চাকরি ছেড়ে জিনজিয়াংয়ে তার পিতামাতার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে চিনে ফিরে আসেন।
সংবাদমাধ্যম ভয়েস অফ আমেরিকার বরাতে জানা যায়, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে যথেচ্ছভাবে আটক করে কাশগরের ইয়ানবুলাক ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়। তার আত্মীয়রা তার মৃত্যুর জন্য চিনা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে। চিন উইঘুরদের উপর নির্যাতন সম্পর্কিত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বন্দী শিবিরকে “বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠান” বলে অভিহিত করে। কিন্তু কথিত এই বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানে নির্যাতন ব্যতিত আর কিছুই হয় না।
এরকিনের চাচা এবং নরওয়েভিত্তিক উইঘুর অধিকার কর্মী আব্দুওয়েলি আয়ুপ ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, “চিনা কর্তৃপক্ষ আমার ভাগ্নি মিহরিয়াকে হত্যা করার প্রায় ছয় মাস পর আমি এই সংবাদটি জানতে পেরেছি, কিন্তু আমি এখনো জানি না তার প্রকৃত কবর আছে কি না।”
আমেরিকান উইঘুর অধিকার কর্মী এবং ওয়াশিংটনভিত্তিক উইঘুরদের জন্য প্রচারাভিযানের নির্বাহী পরিচালক রুশন আব্বাসের ভাষ্যমতে এরকিনের ওপর চলা নির্যাতন মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct