মঞ্জুর মোল্লা, শান্তিপুর: লকডাউন তুলে দিয়ে অবিলম্বে ট্রেন,বাস চালানো, স্কুল, কলেজ খোলা সহ বেশ কয়েকটি দাবি তুলে শান্তিপুর রেলস্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন নাট্যকর্মী , বুদ্ধিজীবী, কলেজছাত্রীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। শান্তিপুর জনউদ্যোগ-এর পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে ট্রেন বাস চালু করতে হবে। খুলতে হবে স্কুল কলেজ। ভ্যাকসিন নেওয়া কোনভাবেই বাধ্যতামূলক করা যাবে না। জোরপূর্বক বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা হলেও তারা কোর্টে যেতে রাজি আছেন। তাদের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লকডাউন করে মধ্যবিত্তকে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। নাট্যকর্মী রাত্রি চট্টোপাধ্যায়, বিক্ষোভকারী সৌরভ বসাক গৃহবধূ শুমানি চৌহান কলেজ ছাত্রী রিয়া সরকারদের অভিযোগ স্পেশাল ট্রেনে যাতায়াত করছেন রেলকর্মী সহ এক শ্রেণীর লোকজন, তাতে করোনা ছড়াচ্ছে না। অথচ দিনের পর দিন ধরে গণ পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ রেখে নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত মানুষকে পুরোপুরি মেরে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। শুধুমাত্র ২ কেজি চাল ৪কেজি গম দিয়ে রেলের একাধিক হকার, সাধারণ মানুষ ট্রেনে করে দূরে যারা পরিচারিকা হিসেবে কাজ করতে যান তাদের শান্ত করে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার তাদের খবর রাখেন না। স্কুল কলেজ এবং পরীক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ রাখার কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা শুরু হয়েছে।
ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে মানুষের ভবিষ্যৎ একেবারেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভ্যাকসিন নেওয়া, টেস্ট করানো কখনোই বাধ্যতামূলক হতে পারে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শান্তিপুর স্টেশনে একাধিক রেল পুলিশ কর্মীর সামনেই দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকে বিক্ষোভ। এর আগেও মাস্কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন ওই বিক্ষোভকারীরা। করোনা বিধি পালনের বিরুদ্ধেও তরা সরব হয়েছেন। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশ্ন এখন একটাই, বিক্ষোভ আন্দোলনের নামে তারা যদি সরকারবিরোধী কোন কাজ করে থাকেন, তাহলে কেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নাকি বিক্ষোভকারীরা সঠিক জায়গায় আঘাত করেছেন সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি। যদিও বিক্ষোভকারীরা এদিনও দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের কাছে সরকারি অনেক নথিপত্র এবং প্রমাণপত্র রয়েছে। ট্রায়াল’ ভ্যাকসিন নেওয়া এবং টেস্ট করা যে বাধ্যতামূলক নয়, তা তারা প্রমাণ দিতে রাজি হয়েছেন।
ইতিমধ্যেই তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মচারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে কিন্তু একবারও খোঁজ নিচ্ছে না যেসব হকার গুলো ট্রেনে হকারি করে খায়। তাদের রুটি রোজগার ট্রেনের ওপর নির্ভর। তাই অবিলম্বে ট্রেন বাস চালু করার দাবিতে শান্তিপুর রেল স্টেশনে অবস্থান বিক্ষোভ করল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct