বাবা তুমি ভালো আছো তো..
কলি নন্দি
______________
সবার মুখে হাসি ফোটাতে গিয়ে তুমি ভালো আছো তো।অক্লান্ত পরিশ্রম করে সবার জন্য খাবার জোগাড় করতে গিয়ে তুমি ভালো আছো তো বাবা।কোনোদিন জিজ্ঞেস করা হয় নি তোমাকে কেমন আছো?আমরা কেমন না, বাইরে পরিচিত মানুষ দেখলেই প্রথমে বল উঠি, ভালো আছেন বা কেমন আছেন। কিন্ত যে মানুষটার জন্য আমরা, কেমন আছেন কথাটা অপরজনকে জিজ্ঞেস করতে পারি তাকেই কোনোদিন বলা হয়ে উঠেনি কেমন আছো তুমি আজ বাবা?মাথার ঘাম পায়ে ফেলে প্রতিদিন যে মানুষটা ক্লান্ত চেহারা নিয়ে বাড়ি ফেরে তাকে কোনোদিন বলা হয়ে উঠেনি কেমন আছে উনি। বাবারাও ভালোবাসে কিন্তু নিরবে,মায়ের মতো ওতোটা প্রকাশ করে না।কড়া কথা, গম্ভীর ভাবে ডাক দেওয়ার মধ্যে লুকিয়ে থাকে বাবার ভালোবাসা।সন্তানের সঠিক নিয়ম-নীতি মেনে সুচরিত্র হওয়ার পেছনে বড় অবদান বাবারই থাকে। সেদিনের কড়া শাসনের ফল আজকের সুচরিত্র ব্যাক্তিত্বের নিদর্শন। হ্যাঁ এই মহানপুরুষই হলো বাবা।আমি এই মস্ত বড়ো পৃথিবীর নানান জটিলতা দেখি নি,কারণ আমি এই মস্ত বড়ো পৃথিবীর সমান বটবৃক্ষের ছায়ায় বড় হয়েছি।সমস্ত প্রতিকূলতা থেকে আগলিয়ে রেখেছে যে মানুষটা, হ্যাঁ উনি আমার বাবা।এই পৃথিবীর বিশাল জলরাশি আমার অগোচরে, কিন্তু একসমুদ্র ভালোবাসা আমি দেখেছি হাজারো দুঃখে কষ্টে ভালোবাসা কমেনি।
শরীরের কোনো জায়গায় অসহনীয় ব্যাথায় কাতর হয়ে মা মা বলে ডাকি।আচমকা শরীর আঘাত পেয়ে যখন বাবা বলে ডাকি তখন বাবার মর্ম বুঝতে পারি। হঠাৎ ব্যাথায়, বাবাই আমাদের পাশে থাকে।খারাপ সময়ে পেছন ফিরে তাকালে শূন্যতা ছাড়া কিছু চোখে পড়বে না,কিন্তু বন্ধুত্ত্বের যে হাত টা বাড়ানো থাকে সেটি হলো বাবার হাত।সেই বাবার হাতকে কখনো অবহেলা না করি কখনো আমরা।
পৃথিবীর সকল বাবা দীর্ঘজীবি হোক।.....
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct