বাবলু প্রামণিক, পাথরপ্রতিমা: শনিবার পূর্ণিমার ভরা কোটাল। ভরা কোটাল এর জেরে জলস্ফীতি দেখা দেবে নদী গুলিতে ইতিমধ্যেই অশনী সংকেত সুন্দরবন বাসীদের মনে। সুন্দরবনের মানুষজন দেখেছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে কিভাবে সুন্দরবনের শান্ত নদী গুলি মুহূর্তের মধ্যে রুদ্র রূপ ধারণ করে একের পর এক গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। বেঁচে থাকার শেষ সম্বল টুকুনি হারিয়েছিল উপকূল তীরবর্তী এলাকার বহু মানুষ।
এখনো সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন এরই মধ্যে কোটালের জলস্ফীতি দেখা দেবে সুন্দরবনের একাধিক। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনের। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সুন্দরবনের একাধিক জায়গায় নদী মাঠ মেরামতের কাজে লেগে পড়েছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সুন্দরবনের ঘোড়ামারা দ্বীপ ,মৌসুনি দ্বীপ, কুলতলী উপকূল তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা, পাথরপ্রতিমা বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত গোবর্ধনপুর, জি প্লটের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল গোটা এলাকা।
শনিবারের কোটালের কথা মাথায় রেখে সুন্দরবনের একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকার জলপথে সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। কোটাল মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো রকম খামতি না থাকে সেই বিষয় নিয়ে দফায় দফায় প্রশাসনিক বৈঠক সেরে নিচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজন কে ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সুন্দরবনের মানুষজন মনে করছে, এই কোটালে যে সকল কাঁচামাটির নদীবাঁধগুলি রয়েছে সেই সকল নদী বাঁধ গুলী ভেঙে গিয়ে আবার নতুন করে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে নোনা জল। বারবার প্রশাসনের কাছে স্থায়ী কংক্রিটের আমাদের জন্য অনুরোধ করা হল কোনরকম সুরাহা হয়নি। বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আইলা, ফনি, বুলবুল, ও সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়ে ইয়াসের সম্মুখ সমরে দাড়িয়ে গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে পারেনি কাঁচামাটির নদী বাঁধ। নদীর রুদ্ররূপ এর কাছে কার্যত বশ্যতা স্বীকার করে কাঁচা মাটি নদীবাঁধ গুলি আত্মসমর্পণ করেছে। জীবন-জীবিকাও বেঁচে থাকা শেষ সম্বল টুকুনি তছনছ করে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে সর্বগ্রাসী নদী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct