নাজিম আক্তার, চাঁচল: বাঙালীর জামাই ষষ্ঠী উৎসব। তবে অগ্নিমূল্য বাজার। কিন্তু জামাই আদরে কোনো খামতি রাখতে চান না শ্বাশুড়ি মায়েরা। গত বছরে মত এবছরও এই অতিমারী গ্রাস করলো জামাই ষষ্ঠীকে। বাঙালীর ঘরে ঘরে জামাই ষষ্ঠী। জামাইদের মঙ্গল কামনাই ব্রতী শাশুড়ি মায়েরা। তবে জামাইষষ্ঠীর আগের দিন থেকেই অগ্নিমূল্য বাজার। শাক-সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সব কিছুরই আকাশ ছোঁয়া মূল্য। এই অগ্নিমূল্যের কারণে কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে আম-বাঙালীদের। মালদহের পাশাপাশি চাঁচল দৈনিক বাজারেও মাছ মাংস থেকে শুরু করে সবজী ফলের মূল্য আকাশ ছোঁয়া দাম ছিল। ক্রেতারা যেটাতেই হাত দিচ্ছে সেখানেই ছেকা খাচ্ছে। আনাজের মধ্যে আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা, পেয়াজ ২৫ টাকা। শাক সব্জীর পাশাপাশি রুই, কাতল মাছ প্রতি কেজি প্রায় ২৫০ টাকা, খাসির মাংস প্রায় ৬৫০ টাকা কেজি। বাদ নেই জামাই আদরের আম, ল্যাঙড়া আম ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা হাতে গোনা খদ্দের। এই চড়া দামে বাজারে এসে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে চাঁচলবাসী।
এক ক্রেতা বিভূতি দাস জানান, জামাই ষষ্ঠীর বাজারে শাক-সবজী, মাছ, মাংস, ফল সবেরি আকাশ ছোঁয়া দাম। এক মাছ বিক্রেতা মনি দাস জানান, লকডাউনে বাজার মান্দা। সকাল থেকে মাছ নিয়ে বসে থাকলেও খদ্দেরের দেখা নেই। একসময় এই জামাইষ্ঠীর বাজার সরগরম থাকত। তবে গতবারের মতো এবারেও লকডাউনের ছায়ায় ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। মাছের আমদানি কম থাকায় চড়া দামে বিক্রি করে তবেই থাকবে লাভ। তবে এই দাম শুনেই খদ্দেররা মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। ওই মাছ বিক্রেতা আরোও জানান, লকডাউনে অনেকেই কর্মহীন। তাই আর্থিক সঙ্কটের কারণে হয়তো ইচ্ছে থাকলেও বাজার করতে পারছে না।
জামাইষষ্ঠীর অন্যতম উপকরণ ফলের রাজা আম। থাকছে জামও। কিন্তু সেই আমের দাম চড়া। ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ল্যাঙড়া আম। কিন্তু তাতেও ক্রেতাদের দেখা নেই বলে দাবি করছে চাঁচলের আম বিক্রেতা শচীন দাস। তিনি বলেন, ৫০কেজি আম নিয়ে আসলেও প্রায় তিন ঘন্টায় কেজি দশেক বিক্রি হয়। অগ্নিমূল্য বাজার থাকলেও কিন্তু জামাই আদরে খামতি রাখতে চাইছেন না শ্বাশুড়ি মায়েরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct