আপনজন ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের কারণে কর্নাটকে লকডাউন ঘোষণা করতে হয়। আর তার জন্য সাধারণ মানুষের আর্থিক ক্ষতির শেষ নেই। বিশেষ করে ধর্মস্থানগুলি বন্ধ থাকায় মন্দিরের পুরোহিত কিংবা মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের অবস্থা সঙ্গীন হতে থাকে। এই অবস্থায় কর্নাটকের বিএস ইয়েদিয়ুরাপ্পা তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। করোনা সংক্রমণ থাকায় কর্নাটকে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩ জুন ১৪ জুন পর্যন্ত করেছে। সেই সঙ্গে ‘মুজরাই’ বিভাগের আওতায় কর্নাটকের বেম কিছু মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে তিন হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কর্নাটকের বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের বক্তব্য, মুজরাই বিভাগে টাকা হিন্দু তহবিলের। তাই সেই টাকা থেকে মুসলিমদের মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদেরকে দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র হিন্দুদের কল্যাণেই ব্যবহার করতে হবে। বিশ্ব হিন্দু পরিসদের নেতা গিরীশ ভরদ্বজা এ নিয়ে কর্নাটক সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় অবশেষে কর্নাটক সরকার এই ভাতা দেওয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, কর্নাটকের ৪১টি মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনকে এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্নাটক সরকারের ‘মুজরাই’ বিভাগ।
এ ব্যাপারে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা গিরিশ ভরদ্বাজ ট্যুইট করে কর্নাটক সরকারের বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগ তোলেন। তিনি ট্যুইটে রেখেন, সরকার বদল, তৃপ্তি অব্যাহত! মন্দিরের টাকায় মৌলভিদের বেতন দিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
এদিকে বুধবার, কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক প্রতিনিধি দল কর্নাটকের মুজরাই মন্ত্রী, কোটা শ্রীনবাস পূজারীর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে হিন্দু কল্যাণ তহবিল থেকে মুসলিমদের জন্য অনুদান দেওয়ার বিরোধিতা করে। মুসলিম সহ যে ৭৬৪ অন্য ধর্মের প্রতিষ্ঠানকে সহায়াতা দেওয়া হচ্ছে তার বিরোধিতা করে। এর পর মন্ত্রী পূজারি এক বিবৃতিতে জানান, বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুরোধের পরে মুজরাই বিভাগ অন্য ধর্মের আর্থিক সহায়তা দেওয়া স্থগিত রেখেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct