আপনজন ডেস্ক: সম্প্রতি চিন সেদেশ জন্মহার কমে যাওয়ার কারণে দুই সন্তানের নীতি থেকে সরে এসে তিন সন্তানের নীতিতে সায় দিযেছে। কিন্তু তিন সন্তানের বিষয়ে নাগরিকদের উৎসাহিত করা হলেও জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে জন্মহার কমানোর কথা ভাবছে চিন।
শুধু উইঘুরই নয়, অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের ব্যাপারেও একই নিয়ম চালু করা হতে পারে।
জার্মান বিশ্লেষকদের একটি গবেষণায় এমনটাই জানানো হয়েছে। আর তা তুলে ধরেছে আল জাাজিরা টিভি। আল জাজিরা জানিযেছে, জিনঝিয়াংয়ের জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতির পেছনে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্য সম্পর্কে চিনা শিক্ষাবিদ ও কর্মকর্তাদের গবেষণার অপ্রকাশিত কিছু অংশ রয়েছে। সেখানে উল্লিখিত সরকারি তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে উইঘুরদের জন্মহার ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
জার্মান গবেষক অ্যাড্রিয়ান জেনজের গবেষণা সোমবার প্রকাশের আগে রয়টার্স ওই প্রতিবেদনের কিছু অংশ প্রকাশ করেছে।
জেনজের গবেষণা প্রতিবেদন তখনই প্রকাশ হতে যাচ্ছে, যখন চীনের উইঘুরদের ওপর রাষ্ট্রীয় ‘গণহত্যা’র তদন্ত চাইছে কিছু পশ্চিমা দেশ।
তবে উইঘুরদের ওপর নির্যাতন ও গণহত্যার খবর চিন বারবার অস্বীকার করে আসছে।
জেনজের গবেষণাটি জিনজিয়াংয়ে চীনের বহু বছরের অত্যাচার-নিপীড়নের ফলে জনসংখ্যার ওপর এর প্রভাবের প্রথম পর্যালোচনা বিশ্লেষণ।
অধিকারকর্মী, গবেষক এবং কিছু বাসিন্দা বলেছেন, চিনের নতুনভাবে প্রয়োগ করা জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতিতে এক কোটি উইঘুর এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জেনজ বলেন, উইঘুর মুসলমানদের জন্মহারে চীনের সত্যিকারের মনোভাব এই গবেষণায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। উইঘুরদের জন্মহার হ্রাস চীনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার প্রকাশ।
চিনা শিক্ষাবিদ ও কর্মকর্তাদের প্রস্তাবিত আনুষ্ঠানিক জন্ম তথ্য, জনসংখ্যার উপাত্ত এবং অনুপাতের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে জেনজ অনুমান করেছে, বেইজিংয়ের নীতিগুলো দক্ষিণ জিনজিয়াংয়ের হান জনসংখ্যা বর্তমানে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে প্রায় ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে পারে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct