সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া: ইয়াস’ পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাস্তায় নামলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে. রাধিকা আইয়ার। বৃহস্পতিবার তিনি বাঁকুড়া-১ ব্লকের ধলডাঙ্গা মোড় সংলগ্ন জগদল্লা-গোড়াবাড়ি মহাত্মা গান্ধী স্মৃতি বিদ্যালয় ত্রাণ শিবির ঘুরে দেখেন। কথা বলেন ঐ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের সঙ্গে। ওই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বৃন্দা মাল, আলোচনা মালরা বলেন, মাটির বাড়ি যেকোন সময়ে ভেঙ্গে পড়তে পারে। তাই এই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া। জেলাশাসক নিজে এসে তাদের খাবারের ব্যবস্থা সহ অন্যান্য খোঁজ খবর নিয়েছেন বলে তারা জানান। পরে জেলাশাসক কে.রাধিকা আইয়ার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ পরিস্থিতিতে জেলায় ‘কমলা সতর্কতা’ জারি হয়েছিল। এই মুহূর্তে জেলার সরকারী ত্রাণ শিবির প্রায় ১ লাখের কাছাকাছি মানুষ রয়েছেন। আগাম সতর্কতা হিসেবে এই কাজ করতে পারার জন্য কোন প্রাণহানির খবর নেই। একই সঙ্গে প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বিদ্যুৎ পরিষেবার দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হয়েছে ও ৫০ টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ভেঙ্গে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে জঙ্গলের বেশ কিছু গাছ ও অন্যান্য চাষাবাদেও। বেশ কিছু বাড়িও ইতিমধ্যেও ভেঙে পড়েছে। এই মুহূর্তে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট এসে পৌঁছালেও আগামী তিন দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ রিপোর্ট চলে আসবে বলে তিনি জানান।
নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে জেলাশাসক বলেন, আমরা সতর্ক আছি। ইতিমধ্যে বড়জোড়ার মানাচর, ইন্দাস, সোনামুখীর নদী তীরবর্ত্তী এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপরেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সতর্ক আছেন।
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে জেলাশাসক বলেন, বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক কাজ করার কাজ চলছে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা বিডিও, মহকুমাশাসকদের মাধ্যমে আসার পর তাঁরা তা রাজ্যে পাঠিয়ে দেবেন।
সিমলাপালের তপুবাইদ গ্রামে ত্রাণ শিবিরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু প্রসঙ্গে জেলাশাসক বলেন, প্রাথমিক রিপোর্ট ইতিমধ্যে রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর কারণ সহ অন্যান্য বিস্তারিত রিপোর্ট হাতে এলে প্রয়োজনীয় পরবর্ত্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct