বিশেষ প্রতিবেদক, দেগঙ্গা: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাব অন্যদিকে পূর্ণিমার ভরা কোটালের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উপকূলবর্তী অঞ্চল গুলিতে। পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বাদ যায়নি উঃ চব্বিশ পরগনা জেলার দেগঙ্গার চাঁপাতলাও। এই পঞ্চায়েতের উপর দিয়ে বয়ে চলা বিদ্যাধরী নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি। নদীর জল প্লাবিত হয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঘরবাড়ি, চাষের জমির প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টি করেছে।
খবর পাওয়া মাত্র প্লাবিত হওয়া গ্রাম গাংধুলহাট, গাংনিয়া, পারুলিয়ায় পৌঁছে গিয়ে গ্রামের মানুষের সহায়তায় বাঁধ মেরামতির কাজ তদারকি করেন জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুব্রত মল্লিক, যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমিত্র গাঙ্গুলী, স্থানীয় প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী, মফিদুল হক মোল্লা, উপপ্রধান বাপি মন্ডল, মফিদুল হক মোল্লা সহ অন্যান্যরা।
একেএম ফারহাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এবং বিডিও সহ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্রামবাসীদের সহায়তায় দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ তদারকি করতে শুরু করেন। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের সেই স্থান থেকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয় পাঠানোর ব্যবস্থা করা এবং সেখানে থাকা খাওয়ার সুবন্দোবস্ত করা হয়।
বিডিও সুব্রত মল্লিক বলেন, প্রশাসনের তরফে যা যা করণীয় আমরা সব রকমের সহযোগিতা করে গ্রামের মানুষের পাশে আছি। একইসঙ্গে তিনি বলেন অযথা আতঙ্কিত হবেন না সতর্ক থাকুন। রাজ্য সরকার সব সময় আপনাদের পাশেই আছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct