আপনজন ডেস্ক: করোনা বড় ধাক্কা দিয়েছে আইপিএলকে। মাঝপথে স্থগিত হয়ে গেছে ২০২১-এর আইপিএল। এখন যেকোনোভাবেই হোক আইপিএলের বাকিটা আয়োজন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিসিসিআই। তবে এর জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচিতে ফাঁকা সময় বের করাটাই মূল মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আগস্টের পরের সময়টাকে বেছে নিতে চেয়েছিল ভারত। এটাই ছিল সবচেয়ে ভালো সময়। আগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে তারা। সিরিজের সূচি একটু বদলে নিয়ে আইপিএলের বাকি ৩১ ম্যাচের জন্য সময় বের করে নিতে চেয়েছিল তারা। এ জন্য অনানুষ্ঠানিকভাবে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কাছে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সে প্রস্তাব গ্রহণ করার নাকি কোনো সম্ভাবনা নেই।
৪ আগস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর—বেশ বড় একটা সময় টেস্ট সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে ভারত। এর আগে ১৮ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবেন বিরাট কোহলিরা। এর মধ্যেই শ্রীলঙ্কা সফরে দ্বিতীয় জাতীয় দল পাঠানো হবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার জন্য। ওদিকে অক্টোবরের শেষ দিকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই আইপিএল আয়োজন করতে চাইলে ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজের পরই করতে হবে।
ভারত তাই সিরিজ এক সপ্তাহ এগিয়ে আনতে চেয়েছিল। আর পাঁচ টেস্টের মধ্যে সময়ের ব্যাপ্তিটাও কমিয়ে এনে পুরো সেপ্টেম্বর মাস ফাঁকা করে নিতে চেয়েছিল বিসিসিআই।
কিন্তু দুই বোর্ডের মধ্যকার সে আলোচনায় কোনো ফল আসেনি। বিসিসিআইয়ের এক সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, ‘টেস্ট সিরিজের সূচি বদলানোর যে অনুরোধ বিসিসিআই করেছে, তাতে ইসিবি রাজি হবে না। যেহেতু অনানুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের অবস্থান ওরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, আমার মনে হয় না আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়ার কোনো কারণ আছে। ইসিবি প্রথমবারের মতো “হান্ড্রেড” আয়োজন করবে ২৪ জুলাই থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে। এ নিয়ে সম্প্রচার স্বত্ব ও অন্য সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে। তাই সূচি বদলানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।’
ইসিবি রাজি না হওয়ায় এখন ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যেই আইপিএল আয়োজন করতে হবে বিসিসিআইকে। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইক আথারটনও এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইসিবির ভারতের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। দ্য টাইমসে নিজের কলামে লিখেছিলেন, ‘এত পরে এসে কোনো পরিবর্তনে ইসিবির রাজি হওয়ার দেখি না। আমার ধারণা নিজের মতেই অনড় থাকবে তারা।
ভারতের পঞ্চম ম্যাচ সেপ্টেম্বরের ১০ থেকে ১৪ তারিখ ওল্ড ট্রাফোর্ডে হবে। এর মধ্যেই ল্যাঙ্কাশায়ার প্রথম তিন দিনের সব টিকিট বিক্রি করে ফেলেছে। সিরিজ হতে হতে বাকি দুই দিনেরও সব বিক্রি হয়ে যাবে, এত পরে এসে সূচি বদল করা ল্যাঙ্কাশায়ার, ইসিবি ও ইংল্যান্ড দলের জন্য ঝামেলা সৃষ্টি করবে। আর যেসব দর্শক টাকা খরচ করে টিকিট কিনে খেলা দেখার চিন্তা করেছে, তাদের কথা তো বাদই দিলাম।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct