জৈদুল সেখ, কান্দি: গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদ জুড়ে কালবৈশাখীর দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হলো হাজার হাজার বিঘার জমির পাঁকা ধান, পাট, আম সহ একাধিক সব্জি ফসল ও আম তরমুজের মতো গুরুত্ব পূর্ণ ফল।
কান্দির জীবন্তি, গোকর্ণ, খড়গ্রাম, নবগ্রামের একাধিক এলাকায় ঝড় ও প্রচন্ড শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাকা ধান, পাট ও আমের। হঠাৎ ঝড় বৃষ্টিতে কৃষকদের সারাবছর খাবারের একমাত্র সম্বল ধানে এতো বড়ো ক্ষতিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের।
এই ঝড়ের গতি এতো বেশি ছিল যে উগ্র রাস্তার উপরে তিনটি ইলেকট্রনিক পোল এবং ৫টি বড়ো গাছ পড়ে থাকাতে সকাল থেকেই যানবাহনে অসুবিধা হচ্ছিল, যদিও এলাকা বাসি মিলে গাছ সরিয়ে নেওয়া হলেও, ইলেকট্রনিক পোল পড়েই আছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় থেকেই আচমকা শুরু হয় ঝোড়ো হাওড়া তার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি, এই কালবৈশাখীর তান্ডবলীলা এতটাই বেশি ছিল যে জীবন্তির ভাটপাড়া এবং জিয়াদারার পাচঁটি বাড়ির চাল এবং টিন উড়ে যায়! চাল উড়ে যাওয়া রেজিনা বিবি জানান, “আমার দুই ছেলে আমি বাড়িতেই ছিলাম, হটাৎ শো করে মাথার উপর দিয়ে এসে চাল উড়িয়ে নিয় চলে গেল, ভেবেছিলাম হয়তো আমরা চাপা পড়ে যাব, কোনো রকমে ভিজতে পাশের বাড়িতে ছেলে কে নিয়ে চলে যায়, খাবারের সব কিছু ভিজে গেছে কিছু নষ্ট হয়ে গেছে, এখনো খোলা আকাশের নিচেই থাকতে হচ্ছে! “
কান্দির আসমত সেখ, টোটন কোনাই সহ পাঁচজনের এখন থাকার একমাত্র বাড়ির চাল উড়ে যাওয়ায় সরকারি সাহায্য চেয়ে আবেদন পরিবারের। এর সঙ্গে উড়ে গেল জীবন্তির একমাত্র পলট্রি ফ্রাম মারা গেলশ তিনেক পোলট্রি মুরগি। প্রায় তিন লক্ষ্যের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ফ্রাম মালিক মোঃ আলী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত বছর আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক অনেকেই বঞ্চিত, তাই কৃষকদের মধ্যে খোদাবক্স জানাচ্ছেন যে “ আমাদের প্রায় পাঁচ বিঘার জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে, সরকারের কাছে আবেদন রাখব যদিও কিছু ক্ষতিপূরণ দিত তাহলে আগামী বছর চাষ করতে পারব।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct