আপনজন ডেস্ক: শেষ কবে পিএসজি জেতার জন্য এতো হিসেব-নিকেশ করতে বসেছিল? বেশ ভাবনারই বিষয়। পরিসংখ্যান বলবে ২০১৬-১৭ মৌসুমের কথা। যখন কিলিয়ান এমবাপ্পে, রাদামেল ফালকাও, ফাবিনিও, বের্নার্দো সিলভা, বেঞ্জামিন মেন্দিদের দাপটে লিগ হারিয়েছিলেন এদিনসন কাভানি-ইব্রাহিমোভিচরা। মোটামুটি চার বছর পর আবারও সেই হিসেব-নিকেশ করতে বসতে হচ্ছে তাঁদের। মূল কুশীলবের জায়গায় শুধু কাভানি-ইব্রাদের পরিবর্তে নেইমার-এমবাপ্পে। সেবার লিগ জেতার পথে পিএসজির পথের কাঁটা হয়েছিল মোনাকো, আর এবার লিল।
তো ক্রিস্তোফার গালতিয়েরের লিল মোনাকোর মতো আরেকটা অঘটন ঘটিয়ে দেয় কি না, সে গুঞ্জন আরও মহাসমারোহে বাড়িয়ে দিল পিএসজি নিজেই। লিগ রক্ষার মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ রেনেঁর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে বসেছে তারা। এই ড্রয়ের ফলে নেইমারদের লিগ রক্ষার মিশনটা আরও বেশি কঠিন হয়ে গেল। ৩৬ ম্যাচ পর নেইমারদের পয়েন্ট এখন ৭৬। ওদিকে লিলের পয়েন্ট ৭৯। অর্থাৎ লিগ জয়ের জন্য বাকি দুই ম্যাচে এখন নেইমারদের জিততে তো হবেই, উলটো আশা করতে হবে লিল যেন অন্তত একটা ম্যাচে হারে।
বাকি দুই ম্যাচে লিল চার পয়েন্ট পেলেই নেইমারদের লিগ ধরে রাখার আশার সমাধি হয়ে যাবে। লিলের পয়েন্ট তখন হবে নূন্যতম ৮৩, আর হাতে থাকা বাকি দুই ম্যাচ জিতলেও নেইমারদের পয়েন্ট তখন হবে ৮২। ওই এক পয়েন্টের কারণেই ২০১১ সালের পর লিগ যাবে লিলের ঘরে। তখন এদেন হ্যাজার্ড, জার্ভিনিও, ম্যাথিউ দেবুশি ও ইয়োহান কাবাইরা লিলের ঘর আলো করে শিরোপা এনেছিলেন, এবার আনবেন বুরাক ইলমাজ, রেনাতো সানচেস, জোনাথন ডেভিডরা।
মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে চোটে পড়া এমবাপ্পে ছিলেন না, ছিলেন না ইতালিয়ান দুই ইতালিয়ান আলেসসান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জি, মার্কো ভেরাত্তি ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার লিয়ান্দ্রো পারেদেস। কিন্তু তাতে কি? নেইমার তো ছিলেন! প্রথমার্ধের একদম শেষদিকে লেফটব্যাক লেভিন কুরজাওয়ার কল্যাণে পেনাল্টি পায় পিএসজি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের ষষ্ট মিনিটে নেইমারের ওই পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
৭০ মিনিটে সেহরু গিরাসির গোলে সমতা আনে রেনেঁ। ম্যাচের শেষদিকে মাউরো ইকার্দি কিংবা ফ্লোরেঞ্জির মতো তারকারা মাঠে নেমেও জয় ছিনিয়ে আনতে পারেননি। উলটো দুই পয়েন্ট খোয়ানোর বেদনা ও সম্ভাব্য লিগ শিরোপা হারানোর আশঙ্কা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় পিএসজিকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct