নাজিম আক্তার, চাঁচল: রমজান মাসে মূলত আনারস, তরমুজ, হাইব্রিডআম, কলা, খেজুর, আপেল, মৌসুমী কমলা লেবু এইসব বিক্রি হয়ে থাকে। তবে এবছর একদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের স্রোত আর অন্যদিকে অকাল বৃষ্টি। যার ফলে মাথায় হাত পড়েছে ফল বিক্রেতাদের।রমজান মাসের শেষে বেশি পরিমাণে ফল বিক্রি হলেও এবার তা একেবারেই মন্দা বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। করোনা আতঙ্ক আর অতি ভারী বৃষ্টি কে দায় করছেন ফল ব্যবসায়ীদের একাংশ।প্রতিদিনের মতো শনিবার আংশিক লকডাউনের দিন চাঁচল শহরে ফল বিক্রেতারা ফলের পসরা সাজিয়ে বসলেও তেমন ক্রেতাদের দেখা নেই। আপেল, কলা অন্যান্য ফলের সামান্য কিছু বিক্রি হলেও হাতে ছুঁয়েও দেখছেন না কেউ তরমুজ। তবে রোজার মাসে তরমুজই বেশি বিক্রি হয়ে আসছিল বলে জানাচ্ছেন ব্যসায়ীরা। তবে দুদিনের বৃষ্টির কারণে তরমুজ ফলের কেনাকাটা একদম নেই বললেই চলে।করোনার বাড়বাড়ন্তের ফলে ফের একবার আংশিক লকডাউন এর পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার।
চাঁচলের এক ফল ব্যবসায়ী দুলাল সেখের বক্তব্য, সকাল ৭ টা থেকেই দোকান খুলে রাখছি। কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই। অন্যদিকে বিকেলে রোজা থাকার কারণে মানুষজন আসছে না। রোজার মাসে প্রথম দিকে ফলের চাহিদা থাকলেও করোনা আতঙ্কের ফলে চরম হারে মার খাচ্ছে আমাদের ব্যবসা।সারি সারি ভাবে ফল সাজিয়ে রাখলেও বিক্রি-বাট্টার কোন বালাই নেই। যার কারণে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অধিকাংশ ফল ব্যবসায়ীদের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct