নাজিম আক্তার, চাঁচল: ‘বিনামূল্যে রেশন ও পাঁচ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পেতে হলে এবং এনপিআর ও এনআরসি থেকে বাঁচতে হলে তৃণমূলকে ভোট দিন’ নির্বাচনী জনসভায় এভাবেই আহ্বান জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি।
চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার দুই প্রার্থী নিহার রঞ্জন ঘোষ এবং তজমুল হোসেনের সমর্থনে বুধবার দেড়টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক নির্বাচনী জনসভা করলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর বীরেন্দ্র কুমার মৈত্র উপবাজার চত্বর তুলসিহাটা মার্কেটে।
এই সভায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই লাখ খানেক লোকের সমাবেশ হয়েছিল। এদিনের নির্বাচনী জনসভা ঘিরে দুই বিধানসভা এলাকার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ছিল চরম উদ্দীপনা। দুই বিধানসভা অঞ্চলের কাতারে কাতারে মানুষ সকাল দশটা থেকেই মমতা ব্যানার্জির নির্বাচনী জনসভায় ভিড় জমিয়েছিল। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বিভিন্ন ভাবে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন দিল্লি বাংলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে’। যা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।
তৃণমূল নেত্রী বলেন, জেলার মানুষ বারবার কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে। এবার অন্তত তৃণমূলের উপর ভরসা করে দেখুক। জেলার উন্নয়নের মানচিত্র বদলে দেবেন। পাশাপাশি তিনি নাম না করেই আব্বাস সিদ্দিকীকে আক্রমণ করেন। বলেন বামেদের হাত ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নাটক করছে। এদিকে চাঁচল , হরিশ্চন্দ্রপুর, কুশিদা, ভালুকা সহ প্রভৃতি এলাকার লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের জনসভায় এক বয়স্ক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অপরদিকে মমতা ব্যানার্জির জনসভায় লক্ষাধিক মানুষের ভিড়ে ছেলেকে হারিয়ে মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছেলের নাম সাঞ্জুল হক(১০)। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির বাগমারা গ্রামে। মমতা ব্যানার্জিকে দেখার জন্য সাঞ্জুল মায়ের সঙ্গে জনসভায় আসেন। ভিড়ের মধ্যে মায়ের হাত ফসকে হারিয়ে যায় বলে খবর। ঘণ্টাখানেক পর পুলিশের তৎপরতায় খুঁজে পায় বলে খবর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct