আপনজন ডেস্ক: তুরস্কের ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া মিউজিয়ামকে ফের মসজিদে রুপান্তর করেছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তারপর থেকে পশ্চিমা দেশগুলির সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। একসময় আয়া সোফিয়া ছিল মসজিদ। পরে সেটিকে মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়। কিন্তু ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য আয়া সোফিয়াকে গত বছরের জুলাইয়ে ফের মসজিদে রূপান্তরের পক্ষে রায় দেয় তুর্কি আদালত। সে সময় প্রশাসনিক আদালত থেকে রায় পাওয়ার এক ঘণ্টা পর নতুন ডিক্রি জারি করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
এবার ৮৬ বছর পর প্রথম বারের মতো তুরস্কের এই ঐতিহাসিক মসজিদে পবিত্র রমযানের প্রথম তারাবি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে তা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ২৫-৩০ হাজার দর্শনার্থী আয়া সোফিয়ায় আসেন। প্রতিটি জুমা’র নামাযে মুসল্লিদের ঢল নামে এখানে।
উল্লেখ্য, আয়া সোফিয়ায় ১৪৫৩ সাল থেকে ১৯৩৪ সাল অবধি মসজিদ হিসেবেই চলছিল। ১৯৩৪ সালে কামাল আতাতুর্ক এক ডিক্রি জারি করে এটিকে মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করেছিলেন। ১১ জুলাই ১৯৩৪ সালে কাামল আতাতুর্কের ক্যবিনেট মিটিংয়ের পর জারি করা ডিক্রি অবৈধ ঘোষণা করে আয়া সোফিয়াকে ফের মসজিদে রূপান্তরের পক্ষে রায় দেয় আদালত। প্রশাসনিক আদালত থেকে রায় পাওয়ার এক ঘণ্টা পর নতুন ডিক্রি জারি করেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ওসমানী খেলাফত বিলুপ্ত হলে ১৯৩৪ সালে মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক স্বাক্ষরিত এক ডিক্রিতে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়। এটি এখন ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান।
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের নির্দেশে ষষ্ঠ শতাব্দীতে আয়া সোফিয়া নির্মিত হয়। ওই সময় এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা। এরপর ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল ওসমানী খেলাফতের দখলে গেলে একে মসজিদে পরিণত করেন বিজেতা সুলতান মোহাম্মদ ফাতিহ তথা দ্বিতীয় মোহাম্মদ।
তুর্কি ইতিহাসে অনন্য স্মৃতিময় আয়া সোফিয়ার মসজিদে রমযান মাসে আবার মুসল্লিদের ভিড় জমছে প্রতিদিন। বিশেষ করে তারাবিহ নামাযে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct