আপনজন ডেস্ক: নয়াবাটিতে পাওয়া যাচ্ছে কিং, জ্যাকোবিন, সোয়া চন্দন, লক্ষা, সিরাজী, গোল্ডেন সুইট নামের নজরকাড়া পায়রা। পায়রাগুলি দেখতে যেমন সুন্দর, নামও তেমন চমৎকার।
পাখিপ্রেমিদের মিলনমেলা হয় খুলনার সবচেয়ে বড় এই কবুতর হাটে। বেলা বাড়তেই এসব কবুতরের টানে দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসে হাজার হাজার পাখিপ্রেমি। খুলনা মহানগরীর খালিশপুর নয়াবাটি মোড় থেকে গোলচত্বর পর্যন্ত রাস্তার দুপাশজুড়ে বিক্রেতারা সারিবদ্ধভাবে খাঁচায় পায়রা বেচা-কেনা করেন।
এ হাটে শুধু পায়রা নয়, ঘুঘু, টিয়া, ময়না, টার্কিসহ দেশি-বিদেশি পোষা পাখিও বিক্রি হয়। আছে খরগোশও। বিক্রি করা হয় পাখির খাঁচাও। খালিশপুর নয়াবাটি হাটের কবুতর বিক্রেতা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, 'প্রতি শুক্রবার পায়রার হাট বসে।
এ হাটে লক্ষা, সিরাজী, হোমার, হাউস পেজার, কোটাবলসহ বিভিন্ন জাতের পায়রা আসে। কবুতরের জাতভেদে বিভিন্ন দাম ওঠে। ৩ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকার পায়রাও পাওয়া যায়। ধনী ব্যক্তিরা বেশিরভাগ ফেন্সি নামের পায়রা লালন-পালন করে। আরও এক পায়রা বিক্রেতা সাজ্জাদ বলেন, 'আমার কাছে লক্ষা, কিং, লাহোড়ি, শর্টপিচ, ফিলব্যাক, রাশিয়ার ভোগলা ডামলা, পোটার, বল কবুতর, পেন্সিল পুটার, রেসার হুমারসহ বিভিন্ন ধরনের পায়রা রয়েছে।
এখানে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের পায়রা রয়েছে। এসব কবুতর বিত্তশালী ও সৌখিন মানুষরা পোষেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct