নাজিম আক্তার, চাঁচল: মালদহের চাঁচল বিধানসভায় সামিউল ইসলামকে প্রাথী চাই। সেই দাবিকে সামনে রেখে একাধিক এলাকায় তার সমর্থনে পতসভা হল।এমনকি তাকে প্রার্থী করার দাবিতে সভাও করলেন ইমামরা। নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু কোনও দলই এখনও তাদের প্রার্থীপদ ঘোষণা করেনি। শাসকদলও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু চাঁচল বিধানসভায় শাসকদলের প্রার্থী চেয়ে তার অনুগামীদের পাশাপাশি ইমামরা পথে নামায় দলের অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দলেরই বিরোধীপক্ষের দাবি, দলের উপরে চাপ বাড়াতে এই কৌশল নেওয়া হয়েছে।যদিও সামিউল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রতিবছর নির্বাচনের দিন ঘোষণার দিনই প্রার্থী পদ ঘোষণা করত তৃণমূল। এবার অবশ্য তা করা হয়নি। তার আগে শনিবার থেকে সামিউলকে প্রার্থী চাই বলে দাবিতে পথে নেমেছেন তার অনুগামীদের পাশাপাশি দলেরই একাংশ। শনিবার থাহাঘাটি, তুলসিহাটা ও কয়েকটি এলাকায় সামিউলকে প্রার্থী করার দাবিতে পথসভা হয়! তাদের দাবি, এলাকায় সামিউল উন্নয়ন করেছেন। তারপর রবিবার চাঁচলে একটি বেসরকারি লজে তাকে প্রার্থী করার দাবিতে সভা করেন ইমামরা।
তৃণমূল কর্মী সাগর আলি বলেন, সামিউল সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গ্রামে রাস্তা, পানীয় জল, আলোর ব্যবস্থা করেছেন। উনি দাঁড়ালে বিপুল ভোট পাবেন।
মালদহ জেলা ইমাম কমিটির সম্পাদক মহম্মদ শেফাতুল্লাহ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় আমরা ভাতা পাই। যে সরকার আমাদের খাবার দিয়েছে, আমরা তাদের পাশে রয়েছি। সামিউল ঘরের মানুষ। সকলের পাশে দাঁড়ান। এটা কংগ্রেসের মাটি। জেলা পরিষদে ও কংগ্রেসকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে। তাই ওই এই বিধানসভার উপযুক্ত প্রার্থী। আর সামিউল এই প্রসঙ্গে বলেন, ইমাম, মোয়াজ্জেমরা আমাকে প্রার্থী করার দাবি তুলেছেন বলে শুনেছি। আমি কৃতগ্য। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। কেউ দাবি করলেও আমি প্রার্থী হতে পারব না। প্রার্থী রাজ্য থেকে স্থির করবে। যেই প্রার্থী হোক এখানে থেকে তৃণমূলকে জেতাব। চাঁচল-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, ইমামদের বিষয়টি আমি জানি না। তবে কে প্রার্থী হবে সেটা তো দলের ব্যাপার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct