সঞ্জীব মল্লিক, কোতলপুর: শেষ যাত্রায় বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যা। বাম ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠির ঘায়ে নিহত বাঁকুড়ার কোতুলপুরের এই ডিওয়াইএফআই কর্মীর তাঁর প্রিয় সংগঠনের পতাকা মোড়া মৃতদেহ কলকাতা থেকে চোরকোলা গ্রামে পৌঁছায় সোমবার গভীর রাতে। এলাকায় মৃতদেহ পৌঁছাতে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ভিড় জমান। তার বাড়ি সহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
একের পর এক মানুষ শেষ দেখা দেখতে মইদুলের বাড়িতে আসতে থাকলে তা জনসমুদ্রের রূপ নেয়।
এদিন সকাল দশটায় গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠে ইসলামি ধর্মীয় রীতি মেনে মইদুলের নামায-এ জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। বাঁকুড়া জেলা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে নিহত মইদুলের রুহের মাগফিরাত (আত্মার শান্তি) কামনায় মুসল্লিরা অংশ নেন এই জানাযা নামাজে। স্থানীয় মানুষজন বলছেন, ইতিপূর্বে কারও মৃত্যু এত মুসল্লিকে জানাযা নামাজ পড়তে একসঙ্গে হতে দেখা যায়নি। বিপুল সংখ্যক মানুষ আসার কারণে ফাঁকা ময়দানে জানাযা নামাজের ব্যবস্থা করতে হয়। নামায-এ জানাযার পর গ্রামের নির্দিষ্টি কবররস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিন মইদুল ইসলামের শেষ যাত্রায় সাক্ষী থাকতে বাম সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-নেত্রী তার গ্রামে হাজির হন। বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভয় মুখার্জী, রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র, সভানেত্রী মিনাক্ষী মুখার্জী, সিপিআইএম নেতা, প্রাক্তন বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র, দলের নেতা তাপস চক্রবর্ত্তী সহ অসংখ্য বাম নেতা কর্মীরা।
উপস্থিত সিপিআইএম কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ একটিবার চোখের দেখা দেখতে চান তাঁদের প্রিয় 'কমরেড'কে। সকলেই চাইছিলেন মইদুলের কাছে একটিবার পৌঁছাতে। যেকোনও ধরনেরর অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে হাজির ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। অবশেষে চোখের জলে চিরবিদায় নেন মইদুল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct