আপনজন ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ে আসছে নতুন প্রস্তাবিত তামাক বিরোধী আইন। কিন্তু সেই আইনে বিস্তর কড়াকড়ি থাকায় সঙ্কটেরমুখে পড়তে পারে বিড়ি-সিগারেট বা তামাক শিল্প। তাই এই প্রস্তাবিত আইনের বিরোধিতায় সামতে পারে বিভিন্ন তামাক শিল্প গোষ্ঠী।
জানা গেছে, সিগারেটের প্যাকেটে বিজ্ঞাপন এবং হোটেলে স্মোকিং জোন স্থাপন নিষিদ্ধ করে আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হচ্ছে। তাই তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে তামাক শিল্প গোষ্ঠীগুলি। বুধবার দুই কর্মকর্তা এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী তামাক ব্যবহারের কারণে ভারতে প্রতিবছর প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরেই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর রয়েছে। চলছে তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার প্রচারণা। তারপরও এসব আইন ও প্রচারণার বাস্তবায়ন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ থেকে গেছে।
গত সপ্তাহে ভারত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী প্রকাশ করে। এতে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও বিমানবন্দরে স্মোকিং জোন স্থাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া বৈধভাবে ধূমপানের বয়সসীমা ১৮ বছর থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই সংশোধনী প্রয়োগ করা হলে সিগারেট বিক্রিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন তামাক শিল্প মালিকেরা। কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটিতে সিগারেট শিল্পের বাজার প্রায় এক হাজার দুইশ’ কোটি ডলার।
আইটিসি, গডফ্রে ফিলিপস ইন্ডিয়া, ফিলিপ মরিসন ইন্টারন্যাশনালের মতো তামাক কোম্পানির ব্যবসা রয়েছে ভারতে। খসড়া সংশোধনী ঘোষণার পর বুধবার আইটিসি শেয়ারের দাম পড়েছে ৩ শতাংশ। গডফ্রে’র পড়েছে ১.৫ শতাংশ। তামাক শিল্পের এক নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘কিছু পদক্ষেপ খুব অতিরঞ্জিত এবং সমস্যাজনক।’ আগামী ৩১ জানুয়ারি খসড়া সংশোধনী নিয়ে জনমত প্রদানের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে তামাক কোম্পানিগুলো উদ্বেগ জানাবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরেক নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সিগারেট শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হলে চাকুরি এবং কৃষকদের ওপর প্রভাব পড়বে। এই উদ্বেগের কথাও সরকারকে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালেও তামাক বিরোধী আইনের ব্যাপক সংশোধনীর প্রস্তাব করে ভারত। তবে তামাক শিল্পের ব্যাপক বিরোধিতার কারণে ওই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct